Regenerating Beauty: Adenium's Journey through Time and Space with the Dr. Malay Kumar Das
প্রথমে স্বীকার করে নেয়া ভালো, আমি এডেনিয়াম এর ব্যাপারে খুব একটা অভিজ্ঞ নই। আমি মাত্র ২৫/২৬ বছর এডেনিয়াম করছি। এখনও কিছুই শিখতে পারিনি, এখনও সবার কাছ থেকে শিখি, আসলে আমি চিরকালের ছাত্র। তবুও আমি যে ভাবে এদের পরিচর্যা করি সেটা এখানে বললাম।
GARDENINGBENGALI
আমার এডেনিয়াম (অ্যাডেনিয়াম) বা মরু গোলাপ গাছের পরিচর্যা:__________ 🌹
⭐⭐(১) বেসিক নিড:-----
📍জল:
যেহেতু এটি মরুভূমির গাছ এবং সাকুলেন্ট টাইপের, তাই এই অনেক দিন জল না দিলেও এই গাছ অনেক দিন বেঁচে থাকে।
তাই বলে যে এই গাছ কম জল খায় তা কিন্তু নয়, এ জল খেতে কিন্তু খুব ভালোবাসে।
তবে মিডিয়া ভিজে থাকলে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মিডিয়া শুকনো হলে তবেই জল দিতে হবে।
* গরমকালে প্রতিদিন বা এক/দুদিন ছাড়া জল দিতে হতে পারে।
* শীতকাল হলে সাত/দশ দিন ছাড়া জল দিতে হতে পারে।
* বর্ষাকালে তো অনেক দিন বাদে বাদে জল দিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে মিডিয়া শুকনো হলে তবেই জল দিতে হবে।
📍আলো ও বাতাস:
এই গাছ খোলা আকাশের নিচে যেমন ভালো হয় আবার পলি হাউস এর ভেতরে খুব ভালো হয়। গাছ এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে সূর্যের আলো গাছ যেনো ৮/১০ ঘণ্টার মতো পায়। যারা বারান্দায় করবেন, তারা আর্টিফিসিয়াল লাইটের ব্যাবস্থা করতে পারেন।
📍 খাদ্য (সার):
গাছ যে সকল খাদ্য উপাদান গ্রহন করে তারমধ্যে ১৬ টি উপাদানকে অত্যাবশ্যকীয় মনে করা হয়। কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন এই ৩ টি ব্যতিত, অন্যান্য ১৩ টি উপাদান গাছ মাটি হতে সংগ্রহ করে থাকে এবং এই ১৩ টি উপাদান কে বলা হয় খনিজ পুষ্টি (Mineral Nutrients)। গাছ কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে বাতাস এবং জল থেকে। গাছের পুষ্টি গ্রহনের পরিমাণের উপরে নির্ভর করে এ সকল পুষ্টি উপাদান কে মোট ২ ভাগে ভাগ করা হয়। একটি মূখ্য উপাদান ও অপরটি গৌণ উপাদান।
(১) মূখ্য উপাদান বা ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্ট (Macro nutrient):
মূখ্য উপাদান (Macro nutrient)- কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম ও সালফার।
*🖲️N-P-K:
(N: নাইট্রোজেন), (P:ফসফরাস),
(K:পটাসিয়াম)
N-P-K ১০-২৬-২৬ খুবই অল্প পরিমাণে প্রতিমাসে একবার ৮/১০টি দানা টবের মিডিয়াতে চারিদিকে ছড়িয়ে একটু উস্কে দিয়ে জল দিতে হবে। বড়ো টবের বা বড়ো গাছে ক্ষেত্রে একটু বেশি পরিমাণে N-P-K দিতে হবে।
প্রয়োজনে N-P-K এর অন্য রেশিও ব্যবহার করতে পারা যাবে। উদাহরণ স্বরূপ যেমন ১৫-১৫-১৫/ ১৯-১৯-১৯/ ২০-২০-২০/ ০-৫২-৩৪/ ০-০-৫০ ইত্যাদি। শেষোক্ত দুটি রেশিওর N-P-K এগুলো অবশ্য জলে মিশিয়ে নিয়ে (১গ্রাম ১লিটার জলে) টবের মাটিতে ব্যবহার করতে হবে। শুধু N-P-K রেশিওর কাজ নিয়ে অন্য একদিন লিখব।
(২) গৌন উপাদান বা মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট (Micro nutrient) বা অনুখাদ্য:
গাছের পরিপূর্ণ বেড়ে ওঠার জন্য অনুখাদ্য খুবই জরুরী।
গৌন উপাদান (Micro nutrient) - আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, কপার, মলিবডেনাম, বোরণ ও ক্লোরিন।
অনুখাদ্যে নিম্নলিখিত জিনিসগুলো মেশানো থাকে ।
১. ফেরাস সালফেট ২. বোরাক্স / সোডিয়াম বোরেট ৩. কপার সালফেট ৪. ম্যাঙ্গানিজ সালফেট ৫. সোডিয়াম মলিবডেট ৬. জিঙ্ক সালফেট
অনেক সময় অনুখাদ্যের প্যাকেটে এই ভাবে প্রতিটি কমপোজিশনের নাম না লিখে শুধু লেখা থাকে - আয়রন, বোরন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, মলিবডেনাম, জিঙ্ক।
ভারতের জনপ্রিয় অনুখাদ্যের মিশ্রণ গুলি যে ব্র্যান্ড নামে পাওয়া যায় সে গুলো হলো : Agromine, Micromin, Ciomin, Plantomycin ইত্যাদি।
প্রতিমাসে একবার উদাহরণ স্বরূপ আগ্রমিন ম্যাক্স ১ বা ২ গ্রাম ১ লিটার জলে মিশিয়ে, টবের মাটিতে দিতে হবে।
এছাড়া Sea Weed Extract এও এই সব অনুখাদ্য মেশানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
*🖲️সিউইড (Sea weed):
লিকুইড বা দানা হিসাবে বাজারে পাওয়া যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে দানাই ব্যবহার করতে পছন্দ করি, তবে লিকুইডও ব্যাবহার করি। প্রতিমাসে ৮/১০ টি দানা গাছের মিডিয়ার চারপাশে ছড়িয়ে উস্কে দিয়ে জল দিতে হবে। বড় গাছের ক্ষেত্রে একটু বেশি পরিমাণে দিতে হবে।
*🖲️বাদাম খোল:
কুড়ি থেকে তিরিশ মিনিট জলে ভিজিয়ে রেখে (ভিজিয়ে রাখলে পাতলা দুধের মতো জল হবে) সেই জল দিতে হবে মাসে একবার।
শীতকালে ও বর্ষাকালে কোনো সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই।
শীতকালীন ও বর্ষাকালীন পরিচর্যার ব্যাপারে বিস্তারিত লেখা পরে পোস্ট করবো।
⭐⭐(২) রোগ ও প্রতিকার:-----
অন্য গাছের তুলনায় এই গাছের রোগ নেই বললেই চলে। একটাই মারাত্মক রোগ সেটা হল গোড়া পচা বা ডাল পচা রোগ। আর এটা হয় ফাঙ্গাস অ্যাটাকের কারণে। ডাক্তারিতে একটা কথা আছে, প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। তাই গোড়া পচা রোগ থেকে বাঁচাতে নিয়মিত পনেরো/কুড়ি দিন ছাড়া ফাংগিসাইড পাউডার (উদাহরণস্বরূপ saaf) জলে গুলে ব্যবহার করতে হবে। টবের মিডিয়াতেও দিতে হবে এবং গাছেও স্প্রে করতে হবে। কুঁড়ি/ ফুল থাকলে গাছে স্প্রে করা চলবে না। কারণ তাতে করে কুঁড়ি/ফুল পচে নষ্ট হতে পারে। আবার একই রকম ফাংগিসাইড বারবার ব্যবহার না করে। পাল্টে পাল্টে বিভিন্ন রকম ফাংগিসাইড ব্যবহার করতে হবে। গাছগুলোকে রেগুলার ওয়াচ করতে হবে। কোন একটি ডাল ঝিমুচ্ছে দেখলে বা গোড়া নরম (গাছের ডিহাইড্রেশন হলেও গোড়া নরম হয় অর্থাৎ গাছে জল কম দেওয়া হলে) হলে নখ দিয়ে খুঁটে দেখুন কোন কালো অংশ দেখা যাচ্ছে কিনা। কালো অংশ দেখা দিলে গাছটিকে মিডিয়া থেকে তুলে ফেলুন। পচা অংশ চুরি বা ব্লেড এর সাহায্যে কেটে বাদ দিন যতক্ষণ না সাদা অংশ দেখতে পাচ্ছেন। তারপরে "সাফ পাউডার" জলে গুলে তুলি (ব্রাশ) করে কাটা অংশে পেন্ট করে দিন। গাছটিকে ছায়াযুক্ত স্থানে দড়ি দিয়ে বেঁধে দু-চার দিনের জন্য ঝুলিয়ে রেখে শুকিয়ে নিন। দু-চার দিন পরে গাছটিকে রিপট করুন।
রেড মাইট ও মিলিবাগ এর প্রাদুর্ভাব এই গাছে বেশ প্রবল। যথাক্রমে "ওমাইট" (১ml ১ লিটার জলে মিশিয়ে) ও "একতারা" (১ গ্রাম ১ লিটার জলে গুলে তার সাথে ২/৪ ফোঁটা শ্যাম্পু মিশিয়ে) স্প্রে করলে যথাক্রমে এদের থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া জাব পোকা ও লেদা পোকার আক্রমণ এই গাছে দেখা যায়। নিয়মিত (১৫/২০দিন অন্তর) কোন কীটনাশক ব্যবহার করলে, এইসব রোগ দেখাই যাবে না।
এই ব্যাপারে বিস্তারিত লেখা পরে পোস্ট করবো।
⭐⭐(৩) এডেনিয়াম গাছের জন্য টব নির্বাচন:-----
মাটির ফ্ল্যাট বা চালি টব সবচেয়ে ভাল। প্রয়োজনে প্লাস্টিকের টবও ব্যবহার করা যায়।
টবের হাইট: ৩"/৪"/৫"/৬"/৮"/১০"/১২" বা তারও বেশি হতে পারে। মোদ্দাকথা হল যেমন সাইজের গাছ তেমন সাইজের টবের হাইট চুস করতে হবে।
টবের ডায়ামিটার: গাছ ছোট ডায়ামিটার এর হলে ছোট ডায়ামিটার এর টব নিতে হবে আর গাছ বড় ডায়ামিটার এর হলে বড় ডায়ামিটার যুক্ত টব নিতে হবে। গাছের গোড়া থেকে টবের কিনারা পর্যন্ত দুই ইঞ্চির (2") বেশি যেনো না হয়।
* টবের ড্রেনেজ সিস্টেম খুব ভালো হওয়া দরকার, এই গাছের ক্ষেত্রে। টবের নিচে অনেকগুলি ছিদ্র থাকা দরকার। না থাকলে করে নিন। তবে নিচে এক স্তর খোলা কুচি বা ছোট ছোট ইটের টুকরো ব্যবহার করুন। তারপরে এক স্তর বালি দিন। তারপরে মিডিয়া দিয়ে টব ভর্তি করুন। ৩/৪ টি মার্বেল টুকরোর ওপর টব গুলো যখন রাখবেন।
⭐⭐(৪) এডেনিয়াম গাছের জন্য মিডিয়া কিভাবে তৈরি করবেন:-----
এডেনিয়াম যেহেতু সাকুলেন্ট প্লান্ট তাই এর মিডিয়া সবসময় "ওয়েল ড্রেনেজ মিডিয়া' হতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা আগে গাছ কিনে নিয়ে আসি, তারপরে মিডিয়া তৈরি করেই গাছ বসিয়ে ফেলি। এটা করা যাবে না। গাছ বসানোর অন্তত এক মাস আগে মিডিয়া তৈরি করে রাখতে হবে।
এডেনিয়ামের মিডিয়া কিভাবে তৈরি করবেন:
এডেনিয়াম এর জন্য আমি যে "ওয়েল ড্রেনেজ মিডিয়া" তৈরি করার চেষ্টা করি সেগুলো এখানে উল্লেখ করলাম। এখানে চারটি পদ্ধতির কথা বলেছি। এর যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে আশানুরূপ ফল পাবেন। আশা করি ঠকবেন না।
📍প্রথম পদ্ধতি:
উপকরণ:
১)সাধারণ মাটি: তিন ভাগ (৩০%)
২)বাড়ি তৈরি করার হলুদ মোটা বালি: তিন ভাগ (৩০%)
৩)ভার্মি কম্পোস্ট: তিন ভাগ (৩০%)
৪)গ্রাভেল/ সুরকি: এক ভাগ (১০%)
এর সাথে অল্প পরিমাণে হাড় গুড়ো, সিং কুচি, নিম খোল, বাদাম খোল, ফাংগিসাইড পাউডার, সুপার ফসফেট/ ডিএপি, মিউরেট অব পটাশ, ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি পাউডার, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ইত্যাদি উপকরণ মিশিয়ে মিডিয়া তৈরি করুন।
📍দ্বিতীয় পদ্ধতি:
এই পদ্ধতিতে কোন মাটি ব্যবহার করা হয় না।
উপকরণ:
১) বাড়ি তৈরি করার হলুদ মোটা বালি: সাত ভাগ (৭০%)
২) ভার্মি কম্পোস্ট: তিন ভাগ (৩০%)
এর সাথে অল্প পরিমাণে হাড় গুড়ো, সিং কুচি, নিম খোল, বাদাম খোল, ফাংগিসাইড পাউডার, সিঙ্গেল সুপার ফসফেট/ ডিএপি, মিউরেট অফ পটাশ, ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি পাউডার, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ইত্যাদি উপকরণ মিশিয়ে মিডিয়া তৈরি করুন।
📍তৃতীয় পদ্ধতি:
এই পদ্ধতিতেও কোন মাটি ও বালি ব্যবহার করা হয় না।
উপকরণ:
১) সিন্ডার/গ্রভেলস: সাত ভাগ (৭০%)
২) ভার্মি কম্পোস্ট: তিন ভাগ (৩০%)
এর সাথে অল্প পরিমাণে হাড় গুড়ো, সিং কুচি, নিম খোল, বাদাম খোল, ফাংগিসাইড পাউডার, সিঙ্গেল সুপার ফসফেট/ ডিএপি, মিউরেট অব পটাশ, ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি পাউডার, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ইত্যাদি উপকরণ মিশিয়ে মিডিয়া তৈরি করুন।
📍চতুর্থ পদ্ধতি:
(কেবলমাত্র বীজ থেকে চারা তৈরি করার জন্য)
১) বাড়ি তৈরি করার হলুদ মোটা বালি (বালি চেলে ধুয়ে নিতে হবে নিতে হবে) :এক ভাগ (৫০%)
২) ভার্মি কম্পোস্ট: এক ভাগ (৫০%)
* সর্বোপরি একটা কথা না বলে পারছি না সেটা হলো আমার উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো তে বলা উপকরণ গুলো আপনারা ইচ্ছা করলে এক্সপেরিমেন্টের জন্য একটু আধটু কমবেশি অর্থাৎ অদল বদল করেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে আমার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি ভার্মি কম্পোস্ট ৩০ শতাংশের বেশি না ব্যবহার করাই ভালো। ১০% থেকে ৩০% আইডিয়াল। অনেকে ভার্মি কম্পোস্টের বদলে এক বছরের গোবর সার ব্যাবহার করে, আর এতে গাছও খুব ভালো হয়, তবে এতে ফাঙ্গাস অ্যাটাক খুব বেশি হয়।
* তবে ভার্মি কম্পোস্ট বা গোবর সার যাই ব্যবহার করুন না কেনো, এই গুলোকে চালুনে দিয়ে চেলে ব্যবহার করবেন।
* আর একটা কথা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি খুবই অল্প পরিমাণে লাগে।
* ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি (টি.ভি) যখন ব্যবহার করবেন তখন রাসায়নিক সার, ফাঙ্গিসাইড, ইনসেক্টিসাইড ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
* ইচ্ছা করলে উপরোক্ত মিডিয়ার সাথে কাঠ কয়লা, এন পি কে ১৫-১৫-১৫ বা ১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০, হুপ অ্যান্ড হর্ন, সিউইড দানাও ব্যবহার করতে পারেন।
* বালি/সিন্ডার/গ্রভলেস সব সময় ধুয়ে শুকিয়ে নিয়ে ব্যবহার করবেন।
* গাছ বসানোর কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন আগে থেকে মিডিয়া তৈরি করুন, এক মাসের বেশি হলে আরো ভালো হয়।
⭐⭐(৫) গাছ নির্বাচন:-----
এই গাছের বীজ থেকে গাছ তৈরি হয়। আবার ডাল থেকেও গাছ তৈরি হয়। বীজের গাছ যে মাতৃগুণ সম্পন্ন হবে এমন কোন মানে নেই। তবে ডালের গাছ একবারে মাতৃগুণ সম্পন্ন হয়। আবার দেশি এডেনিয়াম গাছের ওপর কোনো ভালো জাতের এডেনিয়াম গাছের ডাল কেটে গ্রাফটিং করা হয়, এতে করেও যে গাছ পাওয়া যাবে সেটি মাতৃগুণ সম্পন্ন হবে।
অনভিজ্ঞদের প্রথম প্রথম দিশি অ্যাডেনিয়াম গাছ বসিয়ে হাত পাকানো ভালো।
পরে অভিজ্ঞতা বাড়লে obesum এর গ্রাফটেড ভ্যারাইটি কেনা যেতেই পারে বা ভালো জাতের এডেনিয়াম এর ডাল সংগ্রহ করে দিশি এডেনিয়াম গাছের উপর জোড়কলম বা গ্রাফটিং করে নেওয়া যেতে পারে। কী করে গ্রাফটিং করবেন ? এই বিষয়ে গ্রুপে আমার একটি ভিডিও পোস্ট করা আছে, সম্ভব হলে দেখে নেবেন।
গ্রাফটেড গাছ কেনার সময় খেয়াল করুন:
* সেই গাছগুলোকে নির্বাচন করুন সেগুলোতে বেশি পরিমাণে ফুল আসে অর্থাৎ ম্যাসিভ ব্লুম ভ্যারাইটি।
* সেই গাছগুলো নির্বাচন করুন যেগুলোতে দুটো তিনটে ডাল বেরিয়েছে।
* শক্ত কোডেক্স যুক্ত মিডিয়াম সাইজের গাছ নির্বাচন করুন। অনভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে খুবই ছোট গাছ না কেনাই ভালো।
পরে আরো অভিজ্ঞতা হলে, এডেনিয়ামের বিভিন্ন ভ্যারাইটি বা অ্যাডেনিয়াম এগজোটিক ভ্যারাইটি গাছ কেনা যেতে পারে।
⭐⭐(৬) প্রুণ ও রিপট:-----
ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ, শীত চলে যাওয়ার সময় (অনেকে অক্টোবর মাস নাগাদ, শীত আসার আগে) গাছগুলিকে টবের মিডিয়া থেকে তুলে শেকড় (রুট) ভালো করে ধুয়ে একটু শুকিয়ে নিয়ে আজেবাজে রুটগুলো কেটে "সাফ পাউডার" জলে গুলে কাটা অংশ গুলোতে তুলি (ব্রাশ) করে লাগিয়ে দিতে হবে। ১০/১৫ দিন গাছগুলোকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। তার পরে রিপট করতে হবে। রিপট করার সময় ১/২ বা ১ ইঞ্চি তুলে গাছটিকে বসাতে হবে। এতে করে গাছের গোড়া মোটা হবে। প্রথম দুই/তিন দিন ছায়া রাখতে হবে, তারপরে ফুল সানলাইটে। গাছ বসানোর ১০/১৫ দিন বাদে বা তারও পরে প্রতিটি ডাল ছাঁটাই করা যেতে পারে। এতে করে কাটা অংশ থেকে অনেক নতুন নতুন ডাল বেরোবে। আর যত বেশি ডালে বেরোবে ততবেশি ফুল হবে।
* তবে সাধারণতঃ এডেনিয়াম আরাবিকাম এর ডাল ছাঁটাই করা হয় না। সে ক্ষেত্রে "পাতা ছাঁটাই" করা হয়।
📌সব শেষে একটা কথা না বলে পারছি না, সেটা হলো Adenium গাছে এত বেশি কিছু পরিচর্যার দরকার হয়না। অতএব উপরে লেখাগুলো সবটাই যে মানতে হবে তার কোন মানে নেই।
Dr.Malay Kumar Das
B.Sc, D.H.M.S (Cal), C. Acupuncture (A.A.I.)
Ex-Residential Medical Officer of N.C.C.H. Medical College & Hospital.
Diploma in Photography from Chhaya Path.
Certificate in Electronics from Advance Training Institute Govt of India.
Life Member of St. John Ambulance Association.
Life Member of Indian Red cross society.



